ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল মামুনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দ্রুত প্রত্যাহার ও তাকে কর্মস্থলে পুনবর্হালের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের নেতা–কর্মীরা।  বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে বুধবার (১১ডিসেম্বর) রাতে সদরপুর উপজেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি ও জামায়াতের নেতারা ইউএনও আল মামুনকে প্রত্যাহারের কড়া নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ও মৌখিক প্রত্যাহারের আদেশ ফিরিয়ে নেয়ার জন্য তারা ঘটনা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানান।

ইউএনও আল মামুনের বিরুদ্ধে ‘আওয়ামী লীগ ফিরে আসবে’ বলে মন্তব্য করার অভিযোগ তুলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের মতবিনিময় সভায় এ অভিযোগ তোলায় ইউএনওকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান। 

তবে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্লা বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে বলেন, এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহার ও ইউএনওকে কর্মস্থলে পুনবর্হালের দাবিতে এদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু হয়। এ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলের- সদরপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কাজী বদরুজ্জামান, সদরপুর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মুনশী ইশারত, যুগ্ম আহবায়ক আবদুর রাজ্জাক খান, যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বাহালুল মাতুব্বর, সদরপুর উপজেলা নায়েবে আমির আবু বকর সিদ্দিকসহ প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, সদরপুর উপজেলার ইউএনও আল মামুনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভুয়া, ভিত্তিহীন ও  উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। দ্রুত তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়ে তাকে নিজ-কর্মস্থলে পুনরায় বহাল রাখকে হবে। 

এ ব্যাপারে ইউএনও আল মামুন বলেন, গত ৩০ নভেম্বর সদরপুর উপজেলা সম্মেলনকক্ষে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। ওখানে ছাত্রদের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাও উপস্থিত ছিলন। তারা সবাই জানেন আমি এ–জাতীয় কোনো কথা বলিনি। কেন ওই ছাত্রনেতা (বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি আনিসুর রহমান) আমার বিরুদ্ধে এ–জাতীয় অভিযোগ করেছেন, তা আমার জানা নেই।

আল মামুন আরো বলেন, আমি এখন পর্যন্ত প্রত্যাহারজনিত কোনো নির্দেশনা পাইনি। আমার এডিসি পদে পদায়নসহ গাইবান্ধা জেলায় বদলি হয়ে আছে। ৩০ ডিসেম্বর ওই পদে আমার যোগ দেয়ার কথা।