এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ১১:২৯ এএম

ছবি : সংগৃহীত
২০ শতাংশ বাড়িভাতা বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি দ্বিতীয় দিনে প্রবেশ করেছে। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে সচিবালয় অভিমুখে ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন সংগঠনের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী। তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার মধ্যে প্রজ্ঞাপন বা ঘোষণা না এলে লং মার্চসহ পরবর্তী কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হবে।
মঙ্গলবার সকালে তিনি জানান, আমাদের কর্মবিরতি চলবে। ২০ শতাংশ বাড়িভাতা, ১,৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত কোনো শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করবেন না।
এর আগে সোমবার সকাল থেকে সারাদেশের সব বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের স্কুল–কলেজে ক্লাস কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।
আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানিয়েছেন, সরকারের প্রস্তাবিত বাড়িভাতা ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির হার অপর্যাপ্ত ও অবাস্তব। তারা মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাতা, চিকিৎসা ভাতা ১,৫০০ টাকা এবং সর্বজনীন বদলি নীতি বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছেন।
আরো পড়ুন : ৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত
গত রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচির সময় পুলিশ শিক্ষকদের সরাতে গেলে ধস্তাধস্তি ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এরপর সংগঠনের নেতাদের আহ্বানে শিক্ষকরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নেন এবং সেখান থেকেই লাগাতার কর্মবিরতি ও আন্দোলনের ঘোষণা দেন।
রোববার ও সোমবার রাতভর শিক্ষকরা খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করেন শহীদ মিনারে। কেউ প্লাস্টিকের চট বিছিয়ে, কেউ ব্যানারকে বালিশ বানিয়ে রাত কাটান। তাদের দাবি, সরকারের পক্ষ থেকে প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন ও কর্মবিরতি চলবে।
অন্যদিকে, সারাদেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকলেও শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করছেন না। বিদ্যালয়ের আঙ্গিনা, শিক্ষক লাউঞ্জ কিংবা অফিসকক্ষে অবস্থান নিয়েই তারা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
এছাড়া জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষকরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঢাকায় অবস্থানরত আন্দোলনরত সহকর্মীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে নিয়মিত পোস্ট দিচ্ছেন। কেউ কেউ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে ব্যানার-প্ল্যাকার্ড হাতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচিও পালন করছেন।