সুরের মূর্ছনায় মায়াবী সন্ধ্যা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২৫, ১০:৪২ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
সুরের আবেশে দর্শকদের মুগ্ধ করেছে ‘মায়াবী সন্ধ্যা’। ধানমন্ডি ক্লাব মিলনায়তনে সঙ্গীত বোদ্ধাদের মোহিত করা সুরেলা এই সন্ধ্যা স্মৃতির পাতায় অক্ষয় হয়ে থাকবে। রেডিও-টেলিভিশন এর স্পেশাল গ্রেডের শিল্পী আহমাদ মায়া আখতারী যেনো সুরের মায়াজালে বেঁধছিল সুর পিপাষুদের।
১৮ জুলাই, শুক্রবার। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার মধ্যেই প্রায় দু'শো সঙ্গীত পিপাষু হাজির। মিলনায়তনে শুরু থেকেই মিষ্টি একটা আবহ জানান দিচ্ছিলো ধ্রুপদী আর সুরেলা ঝংকারের। ঠিক সাড়ে ৭টায় আয়োজক সংগঠক বন্ধুবর এর তোফায়েল আহমেদ রতন আর ফারজানা উর্মী একসাথে মঞ্চে এসে অতিথিদের স্বাগত জানান। চিন্ময় কর আর ইয়াছিন গনি শিল্পী আহমাদ মায়া'কে ক্রেস্ট দিয়ে সম্মানিত করেন। ফুলেল শুভেচ্ছা তুলে দেন খন্দকার দেলোয়ার জালালী, সৈয়দা ফারহানা শিখা ও লিপা সাবরিন।
এবার গানের পালা। সাড়ে সাতটায় শিল্পী আহমাদ মায়া স্টেজে হারমোনিয়ামে সুর তোলেন। মিউজিসিয়ানরা হালকা সুরের আবেশ ছড়িয়ে দেন। হলরুমের আলো কিছটা ম্লান হতেই মায়ার কন্ঠ থেকেভেসে আাসে "আমি শুনেছি সেদিন তুমি......। এরপর... তখন তোমার একুশ বছর বোধ হয় আমি তখন, এই মন জোছনায় অঙ্গ ভিজিয়ে, সন্ধ্যা বেলায় তুমি আমি বসে আছি দুজনায়, যেখানে সীমান্ত তোমার , সেখানে বসন্ত আমার, ও মোর ময়না গো কার কারনে তুমি একেলা, গতকাল চলে গেছে, আমায় ডেকোনা, ফেরানো যাবেনা ফেরারী পাখিরা, মাঝি তুমি মাঝ গাঙ্গে নাও বাইয়া যাও, ও বন্ধুরে, প্রানো বন্ধুরে, কবে যাব তোমার বাড়ি, শেষ করনা শুরুতে খেলা না যেওনা, একা একা কেন ভালো লাগে না কোনও কাজে মন কেন বসে না, মন চায় প্রতিদিন তুমি আমি একদিন, যখন থাকবে কোলাহল ঘুমে নিঝুম চারিদিক, অনেক বৃষ্টি ঝড়ে তুমি এলে, একি সোনার আলোয় জীবন ভরিয়ে দিলে ওগো বন্ধু সাথে থেক, সাথে থকে।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে মুগ্ধ দর্শকদের অনুরোধে আধুনিক, চলচ্চিত্র, লালন ও হাসন রাজাসহ বিভিন্ন ধরনের গান পরিবেশ করেন আহমদ মায়া। অনুষ্ঠান শেষে দৈনিক ভোরের কাগজ অনলাইন সম্পাদক মিজানুর রহমান সোহেল তার লেখা একটি বই উপহার দেন শিল্পীকে। আবারো এমন মুগ্ধতা ছড়ানো আয়োজনে দেখা হবে, এমন প্রত্যাশায় শেষ হয়েছে আহমাদ মায়া আখতারী'র একক সঙ্গীতানুষ্ঠান ‘মায়াবী সন্ধ্যা’।