দেশের সম্পদ ধ্বংস করাই বিএনপির আন্দোলন

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১২:২৮ এএম

ছবি: টিভি থেকে সংগৃহীত






অগ্নিসন্ত্রাস করে মানুষকে হত্যা করা আর দেশের সম্পদ ধ্বংস করাই বিএনপির আন্দোলন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
সোমবার (২ অক্টোবর) লন্ডনের স্থানীয় সময় বিকালে সেন্ট্রাল লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার এলাকার ম্যাথডিস্ট চার্চ হলে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে প্রচুর অর্থ সম্পদ বানিয়েছে। জনগণ কিছু না পেলেও তারা মানি লন্ডারিং করে প্রচুর টাকা বিদেশে পাচার করেছে। তাদের কারণেই দেশে ইমার্জেন্সি হলো। আমাকেই প্রথম জেল খাটতে হলো। তারা আন্দোলন করুক, আমাদের কোনও আপত্তি নেই।
তিনি বলেন, জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। আন্দোলনের নামে তারা যদি দেশের মানুষকে আবার অত্যাচার করতে চায় তাহলে তাদের কোনও ছাড় নেই। যেকোনও মূল্যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র অব্যাহত রাখার কথাও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশে গণতন্ত্র অব্যাহত রাখতে সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে কাজ করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করতে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অগ্নিসন্ত্রাসের কথা জনগণ ভুলেনি। আর কোনো অত্যাচার হলে জনগণ ছাড় দেবে না।’
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক। সংবর্ধনা সভায় যোগ দিতে আগে থেকেই জড়ো হতে শুরু করেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। লন্ডনের বাইরের দূরদূরান্তের শহর ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকেও এই সভায় যোগ দিতে আসেন অনেকে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে গত ১৭ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর ৭৮তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন এবং অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখান থেকে গত ২৩ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন ডিসি পৌঁছান তিনি। ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থানের সময় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া সংবর্ধনায় যোগ দেন এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেন তিনি।

গত শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি বিমান হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছায়। বিমানবন্দরে লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম তাকে স্বাগত জানান।

প্রধানমন্ত্রী আগামী ৩ অক্টোবর রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে (লন্ডন সময়) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে (বিজি-২০৮) লন্ডন ত্যাগ করবেন। ৪ অক্টোবর বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ১২টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।