কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত পাকিস্তান-আফগানিস্তান

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:২৬ এএম

ছবি : সংগৃহীত
কাতারের মধ্যস্থতায় তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। শনিবার দোহায় অনুষ্ঠিত আলোচনার পর রোববার (১৯ অক্টোবর) ভোরে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আলোচনায় কাতারের পাশাপাশি মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেছে তুরস্কও। খবর রয়টার্সের।
বিবৃতিতে বলা হয়, যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন ও স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে দুই দেশ অচিরেই ফলোআপ বৈঠকে বসবে।
আরো পড়ুন : কান্দাহারে পাকিস্তানের বিমান হামলা, নিহত ৪০
গত দুই সপ্তাহে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষে শতাধিক মানুষ নিহত ও হাজারের বেশি আহত হন। ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের পর এটিই ছিল সবচেয়ে বড় সামরিক সংঘাত।
দোহায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে আফগানিস্তান প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোল্লা মোহাম্মদ ইয়াকুব এবং পাকিস্তান প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ।
পাকিস্তানের অভিযোগ, আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সক্রিয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয় ও মদদ দিচ্ছে তালেবান সরকার। এ অভিযোগের জেরে দুই সপ্তাহ আগে পাকিস্তান কাবুলে বিমান হামলা চালায়। এর প্রতিশোধ হিসেবে আফগান সেনারা সীমান্তে পাল্টা আক্রমণ শুরু করে, যা দ্রুত পূর্ণাঙ্গ সংঘর্ষে রূপ নেয়।
এর আগে দুই দেশ ৪৮ ঘণ্টার একটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিল, তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তান নতুন করে আফগান সীমান্ত এলাকায় বিমান হামলা চালায়। যদিও সে সময় আফগান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছিলেন, যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
আফগানিস্তান সবসময় দাবি করে এসেছে যে তারা কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে সমর্থন দেয় না। তবে সাম্প্রতিক খাইবার পাখতুনখাওয়ায় তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) এক আত্মঘাতী হামলায় সাত পাকিস্তানি সেনা নিহত হওয়ার পর পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
এই পটভূমিতেই কাতারের উদ্যোগে দুই দেশের আলোচনায় যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোকে দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।