দুর্নীতি ও অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগে বন কর্মকর্তা বরখাস্ত

শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২৪, ১১:১৫ পিএম

বরখাস্ত বন কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম। ছবি : ভোরের কাগজ
দুর্নীতি ও অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগে রবিউল ইসলাম নামে এক বন কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। রবিউল ইসলাম শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার বালিজুরি ফরেস্ট রেঞ্জের সাবেক কর্মকর্তা ছিলেন।
জানা গেছে, ২০১৬ সালে তিনি বালিজুরি রেঞ্জ কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। তার বাড়ি জামালপুরের মাদারগঞ্জে।
তিনি যোগদানের পরপরই বিভিন্ন দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পরেন। একই কর্মস্থলে ৮ বছর চাকুরি করেন তিনি। বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের এলাকার লোক হিসেবে চাকরিকালীন সময়ে তিনি কাউকে কোনো প্রকার তোয়াক্কা করেননি বলে জানান স্থানীয়রা। তিনি ছিলেন একজন দাপটে বন কর্মকর্তা।
অভিযোগ রয়েছে, গত ৮ বছরে তিনি নানা দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণের অর্থের মালিক বনে গেছেন। তার এসব দুর্নীতির মধ্যে নিলামে কাঠ বিক্রির অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে নিজের পকেটস্থ করেন। এভাবে তিনি গত ৮ বছরে একই কর্মস্থলে থেকে শুধু সরকারি অর্থই প্রায় ১০ কোটি টাকা হরিলুট করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরো পড়ুন: গোয়াইনঘাটে নতুন গ্যাসের সন্ধান
গত ৩ মাস পূর্বে বালিজুরি রেঞ্জ থেকে তার বদলি হলে নতুন কর্মকর্তা যোগদানের পর ঘটনাটি ফাঁস হয়ে যায়। এঘটনাকে কেন্দ্র করে বন কর্মকর্তা রবিউল ইসলামকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
তার এসব অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগ তদন্তের জন্য বিভাগীয়ভাবে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির কর্মকর্তারা হলেন, আহ্বায়ক নেত্রকোনার সহকারী বন সংরক্ষক এ এফ জি মোস্তফা, ময়মনসিংহের সহকারী বন সংরক্ষক সাদেকুল ইসলাম খান, ময়মনসিংহের উথুরা রেঞ্জ কর্মকর্তা আ ছ ম রিদুয়ানুল হক, রাংটিয়া ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল করিম, শেরপুরের এসএফএনটিসির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্টার আব্দুর রাজ্জাক।
ইতোমধ্যেই এ তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছেন। গত ১০ বছরের রবিউল ইসলামের সকল কর্মকাণ্ডের তদন্ত করা হবে বলে জানান কমিটির কর্মকর্তারা। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ময়মনসিংহের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আ ন ম আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, কি পরিমাণের দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত শেষে জানা যাবে।