উইলস লিটলের অধ্যক্ষসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে সমন জারি

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:৩১ পিএম



উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ
এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের মামলায় রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আ ন ম সামসুল আলমসহ ৯ আসামিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়েছে।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরী মামলাটির পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রতিবেদন আমলে নিয়ে এ সমন জারি করেন।
বাকি আসামিরা হলেন, প্রতিষ্ঠানটির সহকারী প্রধান শিক্ষক (দিবা শাখা) মো. নাসির উদ্দিন, সহকারী শিক্ষক ফয়সাল শামীম, মো. আতিক, ফেরদৌসী সুমী, তরিকুল আজম খান, প্রিতীষ বিশ্বাস এবং সিকিউরিটি গার্ড জিয়াউল হক জিয়া ও মাসুদ রানা।
এরআগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা এবং প্রতিষ্ঠানটির সাবেক গভর্নিং বডির সদস্য শফিকুর রহমান আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার সত্যতা পেয়ে প্রতিবেদন দাখিল করে পিবিআই।
এদিকে মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাদী শফিকুর রহমানের ছেলে তাইফুর রহমান (নাহিয়ান) ২০২২ সালে এই স্কুলের নবম শ্রেণি মানবিক (দিবা) শাখার ছাত্র ছিল। শফিকুর রহমান গভর্নিং বডির অভিভাবক প্রতিনিধি থাকার সময়ে প্রতিষ্ঠানটির বাংলা মাধ্যম দিবা শাখার সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. নাসির উদ্দিনকে (দুই নম্বর আসামি) সাময়িক বরখাস্ত এবং কুকীর্তির বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন হয়। সেই তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন বাদী শফিকুর রহমান। এসময় নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবুল হোসেনের বরাবর এক প্রতিবেদন দাখিল করেন তিনি।
এরপর থেকে আসামিরা তাকে ও তার ছেলে নাহিয়ানের প্রতি বিরূপ আচরণসহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছেন। তারা কারণে-অকারণে নাহিয়ানকে ক্লাসে দাঁড় করিয়ে রাখা, ছোট করে কথা বলা, অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সামনে হেয় করা এবং বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখাতেন। একপর্যায়ে নাহিয়ান শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।