প্রেমের টানে প্রায় ৫ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে তুরস্কের যুবক সিরাজগঞ্জে

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৫ পিএম
কথায় আছে - ভালোবাসা মানে না কোনো বাধা। এটা শুধু কথায় নয়, বাস্তবেও সত্য। তেমনই এক ঘটনা, শুধু কথা ও মায়াবী কণ্ঠের প্রেমে মজে সুদূর তুরস্ক থেকে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ছুটে এসেছেন মুস্তফা ফাইক নামে এক যুবক। কারণ, এক বাংলাদেশী তরুণীকে আপন করে নিতে চান তিনি। অপরদিকে এ খবর পেয়ে মল্লিকা নামের ওই তরুণীর বাড়িতে ভিড় করেছে এলাকার লোকজন।
২ নভেম্বর বাংলাদেশে আসেন তুরস্কের যুবক মুস্তফা ফাইক। এরপর মুস্তফা ও মল্লিকার পরিবারের সম্মতিতে সোমবার রাতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা । বিদেশি জামাই পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়ে উঠেছেন এলাকার মানুষ।
জানা যায়, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের কাকিলামারি গ্রামের দলিল লেখক কামরুজ্জামান মানিকের মেয়ে মল্লিকা। তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অবস্থানরত এক আত্মীয়ের মাধ্যমে প্রায় ৩ বছর আগে ইনস্টাগ্রামে ফাইকের সাথে পরিচয় হয় মল্লিকার। তখন থেকেই দুজনের মন দেওয়া-নেওয়ার শুরু। দুজনের পরিবারের সম্মতিতে এর আগে আমি তুরস্কে যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন করলে সেটা নাকচ হয়। এরপর কোনো উপায় না পেয়ে মোস্তফা বাংলাদেশে আসার সিদ্ধান্ত নেন।
তিন বছরের সম্পর্ক বিয়েতে পরিণতি পাওয়ায় খুশি মল্লিকা। তিনি জানান, ভিসা প্রসেসিং শেষ হলেই পাড়ি জমাবেন তুরস্কে। মুস্তফা ফাইক সাংবাদিকদের বলেন, প্রেমের টানে বাংলাদেশে এসেছি। পরিবারের সম্মতিতেই বিয়ে করেছি মল্লিকাকে। তাকে বিয়ে করতে পেরে আনন্দিত ও উৎফুল্ল। বাংলাদেশের মানুষ ও প্রকৃতি অনেক ভালো লেগেছে বলেও জানান এই যুবক।
মল্লিকার মা ও স্বজনেরা এমন বিয়ে মেনে নিয়ে তারাও আনন্দ প্রকাশ করেছেন। তারা জানান, দুই পরিবার আগে থেকেই এই বিয়েতে রাজি ছিল।
এই খবর ছড়িয়ে পরলে তরুণীদের বাড়িতে ভিড় করে এলাকার শত শত মানুষ। প্রত্যেকেই এই ঘটনায় আনন্দ প্রকাশ করে জানান, এরকম ঘটনা আমরা কোনোদিন দেখিনি। তুরস্কের যুবক আমাদের এলাকার মেয়ের ভালোবাসার টানে চলে এসেছে এতে আমরা অনেক আনন্দিত। এসময় প্রত্যেকেই নবদম্পতির জন্য দোয়া ও শুভকামনা জানান।